সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কোহিনূর আরজুমান আগামী ৬ নভেম্বর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করে শনিবার বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাঁচ জঙ্গিকে শনিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয় বলে সিরাজগঞ্জ আদালত পুলিশের পরির্দশক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে জেএমবির ওই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৯টি প্রাইমারি ডেটোনেটর, ২৬টি ডেটোনেটর, চারটি টাইম বোমা, ৩৫ গজ কর্ডেক্স, ১০ কেজি পাওয়ার জেল, ১৫৫টি বিভিন্ন ধরনের সার্কিট, ৫৫টি উগ্রপন্থী পুস্তিকা, ৪৫টি বোতাম সদৃশ সার্কিট, তিনটি ইগনাইটর ও একটি পাওয়ার রেগুলেটর পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়।
এরপর দিনশেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে র্যাব আটক পাঁচজন এবং উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ ডেটোনেটর ও বোমা সরঞ্জাম এবং উগ্রপন্থী বই জিআরপি থানায় হস্তান্তর করে বলে সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি কামাল হোসেন জানান।
এ ঘটনায় র্যাব-১২ এর অপরাধ দমন বিশেষ শাখার উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- জেএমবির প্রধান সমন্বয়কারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর জাইগীর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে আব্দুন নূর (৩১), এহসার সদস্য ঠাকুরাগাঁও সদরের গোবিন্দনগর মুন্সীর হাট গ্রামের আবু তালেবের ছেলে নুরুজ্জামান আরিফ (২৩), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর শতগ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে সাগর (১৮), জেএমবির গায়রে এহসার সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বারো-রশিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২৭) এবং পাবনা সদরের নাজিরপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে ফারুক আহম্মেদ (৩২)।
সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক হায়দার আলীকে মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ওসি কামাল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ কর্ম-দিবসের মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা এবং ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিস্ফোরক মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনে কর্তব্যরত তিন বুকিং সহকারীকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।