শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে প্রায় সাতশ বরযাত্রী নিয়ে দিকে কংগাই গ্রামে পৌঁছান ৬৭ বছর বয়সী কুমার।
অভ্যর্থনা জানাতে আগেই প্রস্তুত ছিল সব। রান্না-বান্না থেকে শুরু করে কনের সাজসজ্জাও শেষ হয়েছে জুমার নামাজের আগেই। কথা ছিল নামাজের পর বর আসবেন। তাই অপেক্ষা।
হবু জামাইয়ের কয়েকজন শ্যালিকাকেও দেখা গিয়েছে গেইট ধরার সব আয়োজন নিয়ে অপেক্ষা করছেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভিড়ের কারণে সে সুযোগ আর মিলেনি।
মন্ত্রীর বিয়ে বলে কথা। এলাহীকাণ্ড না হলেও অতিথিদের জন্য বিশাল আয়োজন বললে কোনো অংশেই অত্যুক্তি হবে না। আয়োজন চলছে কয়েকদিন ধরে। শুধু বরযাত্রীদের আপ্যায়নের জন্যই নিয়োগ করা হয়েছে ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। সবাই কন্যার নিকট আত্মীয়।
দুপুরের খাবারের তালিকায় রয়েছে খাসির কাচ্চি, মুরগীর রোস্ট, কোমল পানীয়, মিস্টান্ন, জর্দা এবং বোরহানী।
আর জামাই মুজিবুল হকের জন্য করা হয়েছে বিশেষ খাবার। ১৬ কেজি ওজনের আস্ত খাসির রোস্ট রয়েছে খাবারের তালিকায়।
এলাকার নামকরা বাবুর্চি কুমিল্লা ক্লাবের মিল্টন রোজারিও সেই রান্না করেছেন।
বিশাল আকারের ডিসে জামাইয়ের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে বেশ আয়োজন করে। চারপাশে ১০টি ইলিশ মাছ, ১০টি আস্ত মুরগীর রোস্ট এবং মাঝে ১৬ কেজি ওজনের খাসির রোস্ট। আরও রয়েছে নানান পদের খাবার, মিষ্টি।