‘জাগরণ যাত্রা’ উত্তরের পথে

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান রহিত করাসহ ছয় দফা দাবিতে উত্তরের পথে রওনা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের জাগরণ যাত্রা।

তপন কান্তি রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2014, 05:19 AM
Updated : 31 Oct 2014, 05:43 AM

এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে মঞ্চের ব্যানার নিয়ে ‘জাগরণ যাত্রা সফল হোক’ শ্লোগান দিয়ে ছোট্ট শোভাযাত্রায় অংশ নেন তারা।

এরপর সাড়ে ৯ টার দিকে শতাধিক কর্মী নিয়ে উত্তরের বিভাগ রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাগরণ যাত্রার চারটি বাস।

কর্মসূচির ব্যানারে লেখা রয়েছে- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান রহিতকরণ ও যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিসহ ছয়দফাভুক্ত অন্যান্য দাবি আদায়ে জাগরণ যাত্রা সফল হোক।’

যুদ্ধাপরাধীরা যেন রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের কোনও সুযোগ না পায়, তা স্পষ্ট করতে গণজাগরণ মঞ্চ সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়ে এলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তা নাকচ করে দিয়েছেন।

যাত্রার শুরুতে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “উচ্চ-আদালতে রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর শাস্তি কমে যাওয়ার যে ঘটনা দেখি, তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে না। তাই সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফাকে সামনে রেখে ‘জাগরণ যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করছি।

তিনি জানান, তাদের এই কর্মসূচি শেষ হবে দুই দফায়। প্রথম দফায় উত্তরের পথে প্রথম দিনের যাত্রা শেষ হবে মেহেরপুরে। পথে ঝিনাইদহের পায়রা চত্বর, চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বর এবং দিন শেষে মেহেরপুরের শহীদ শামসুজ্জ্বোহা পার্কে সমাবেশ হবে।

শনিবার কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী, নাটোর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও আলুপট্টি মোড়ে সমাবেশ শেষে শুরু হবে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা।

ইমরান বলেন, “জামায়াত-শিবির দেশকে নিরাপত্তাহীন করে। আর জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মানুষকে সাহস দিতে আমরা এই যাত্রা করছি।”