এদিকে, সেতুর মোট ২৬৬টি পিলারের মধ্যে ৬৬টির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, বৃহস্পতিবার মাটির পরীক্ষার কাজ শুরু করার কথা থকলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। শনিবার এ কাজ শুরু হবে।
তিনি জানান, সেতুর মোট ২৬৬টি পিলারের মধ্যে মাওয়া প্রান্তের ৬৬টি পিলারের পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৫টি পিলারের স্থলে দোকানঘর থাকায় মাটি পরীক্ষায় জটিলতা দেখা দিয়েছে।
পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণকৃত এসব জমির মালিককে পিলারের স্থল হলে দোকানঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হবে।
তখন আর পিলারের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজে কোনো অন্তরায় থাকবে না বলে তিনি জানান।
মাটি পরীক্ষার কাজের সঙ্গে অন্যান্য পিলারের পয়েন্ট নির্ধারণের কাজও চলবে।
দেওয়ান আব্দুল কাদের আরও জানান, চীনে পদ্মা সেতুর পাইল নির্মাণের কাজ চলছে। ৯০ মিটার করে ১০টি পাইল নির্মিত হচ্ছে চীনের নানটোং-এর স্টিল কাটার ফেব্রিকেট ওয়ার্কশপে।
এগুলো টেস্টিং পাইল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। পাইলগুলো সঠিক ধারণ ক্ষমতা নিতে পারে কি-না, এগুলো পিলারস্থলে পাইলিং করে বসিয়ে পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চাহিদামতো আরও পাইল নির্মাণ করা হবে।
খুব শিগগিরই এসব পাইল দেশে নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।
পদ্মা সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজের নিয়োগ করা পদ্মা সেতুর মালামালের লজিস্টিক ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসআই চৌধুরী এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের (সিকো গ্রুপ) নির্বাহী পরিচালক আলী আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে বড় আকারের দুটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগ বোট, একটি অ্যাংকর বোট এবং তিনটি বিশাল আকারের ড্রেজার মাওয়ায় পৌঁছেছে।