বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ক্ষমতার দম্ভে সরকার জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে গণতন্ত্র ও সংবিধানের দোহাই দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, দেশে একদলীয় শাসনের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা।
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, জনগণ আওয়ামী লীগের এই নীল-নকশা মেনে নেবে না। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই দানবের মতো চেপে বসা সরকারকে হটাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন স্মরণে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারীদের সংগঠন ভাসানী স্মৃতি সংসদের আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতার স্মৃতিচারণ করে ছাত্রজীবনে বাম আন্দোলনের কর্মী ফখরুল বলেন, “আজ আমরা এক নষ্ট সময় অতিক্রম করছি। ওই সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের অনেক অনেক তফাৎ। এখন জনগণের কল্যাণের কথা বলে জনগণের সর্বনাশ করা হয়।”
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ একজনকে ছাড়া কাউকে চিনে না, সম্মান করে না।”
ভাসানী সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেসা মনিকাও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছড়াকার আবু সালেহ, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর প্রমুখ।