কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার বিকালে এ সংঘর্ষের সময় গোলাগুলি হয়েছে। তবে, কোতোয়ালি থানার ওসি গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেননি।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রে দায়িত্বরত আট পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মচারীরা জানান, কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ হাবিলদার মোস্তফার সিগারেট ও লাইটার খোয়া যায় বুধবার সকালে। হাবিলদার মোস্তফার অভিযোগ ছিল কিশোর লিটন এ কাজ করেছে।
এ নিয়ে কিশোরদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। পরে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, বিকালে রাব্বি নামে এক কিশোরকে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাড়ি ফিরিয়ে নিতে আসেন তার বাবা। রাব্বি যখন বাবার সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন হাবিলদার মোস্তফা তাকে ‘জারজ’ বলে গালি দেন।
এ সময় রাব্বির বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশও কিশোরদের প্রতি ১৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
গুলিতে তিনি নিজে (শাহাবুদ্দিন) এবং রায়হান ও রুবেল নামে দুই কিশোর আহত হন বলে জানান শাহাবুদ্দিন।
শাহাবুদ্দিন কপালে এবং দুই কিশোর পায়ে শটগানের গুলিতে আহত হন। আহত দুই কিশেঅরের বাড়ি নোয়াখালী (রায়হান) ও নীলফামারী (রুবেল)।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কিশোররা কেন্দ্রের মধ্যে ডরমিটরিতে আশ্রয় নেয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি ইনামুল হক গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “গুলি হলে আমি তো জানতে পারতাম।”
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রেশমা শারমিন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গোলাগুলি হয়েছে বলে জানান। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এদিকে, সন্ধ্যায় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যান সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শাজাহান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
মোহাম্মদ শাজাহান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেন্দ্রের আট পুলিশ সদস্যের সবাইকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হবে। তদন্ত কমিটি গঠন হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা প্রশাসক।