মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় জানান, বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসী। পরে পরিস্থিতি সামলাতে শহরে পুলিশের পাশপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
পুর্ব শত্রুতার জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাজনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তার বাড়ি খানপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ উঠেছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে মীরপাড়া এলাকার চাঁদাবাজ দল জড়িত, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঋষি পাড়া এলাকার জেলা বাস মালিক সমিতির এক শীর্ষ নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিহত রাজনের সমর্থক ও এলাকাবাসী বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ঋষি পাড়ায় বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাইদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে জেলা ছাত্রলীগ শহরের মধ্যে প্রতিবাদ মিছিল করে। দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইমরান হোসেনসহ অন্য নেতারা।
এ সমাবেশ থেকে বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
সবশেষে অভিযুক্ত মীর সাঈদ ও তার বাহিনীকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বুধবার শহরের পিটিআই মাঠে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে রাজনের লাশ দাফন করা হয়েছে।