নিজামীর রায় ২০৪ পৃষ্ঠার

একাত্তরের বদর প্রধান জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর যুদ্ধাপরাধ মামলায় ২০৪ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গোলাম মুজতবা ধ্রুবসুলাইমান নিলয়, কাজী শাহরিন হক ও কামাল তালুকদারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2014, 05:22 AM
Updated : 30 Oct 2014, 03:46 AM

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের তৎকালিন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রধান নিজামীর বিরুদ্ধে যিনি ছিলেন আলবদর বাহিনীরও প্রধান ছিলেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার সকাল ১০টার পর জনাকীর্ণ আদালতে রায়ের আগে প্রাথমিক বক্তব্য দেন।

এরপর আসামি নিজামির উপস্থিতিতে রায়ের ভূমিকা ও অভিযোগ পড়ে শোনান এ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক।

ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পড়েন রায়ের পর্যবেক্ষণ। সবশেষে চূড়ান্ত আদেশে আসামির প্রাণদণ্ড ঘোশণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে আসামি নিজামীকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এই জামায়াত নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। আদালত কক্ষে নেওয়ার আগে প্রায় দুই ঘণ্টা তাকে সেখনেই রাখা হয়।

সাদা পাঞ্জাবির ওপর কফি রংয়ের কোটি পরিহিত জামায়াত আমিরের মাথায় এ সময় ছিল একটি জিন্নাহ টুপি। কখনো গালে হাত দিয়ে, কখনো আবার চেয়ারে হেলান দিয়ে তাকে শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।    

রায়ের জন্য নিজামীকে আগের দিনই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয় বেলা ১১টায়। এর কিছু সময় পর তিন বিচারক এজলাসে এসে আসন গ্রহণ করেন। 

এই রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয় নিরাপত্তা তল্লাশির পর।