মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের তৎকালিন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রধান নিজামীর বিরুদ্ধে যিনি ছিলেন আলবদর বাহিনীরও প্রধান।
ট্রাইব্যুনাল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক কামাল তালুকদার জানান, বুধবার সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে এই জামায়াত নেতাকে নিয়ে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর নিজামীকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক কামাল তালুকাদার জানান, গাড়িতে নিজামীকে সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় বসা দেখা যায়।
আমাদের আরেক প্রতিবেদক সুলাইমান নিলয় জানান, হাজতখানায় নিজামীকে অনেকটাই উদাস দেখা যায়।
সাদা পাঞ্জাবির ওপর কফি রংয়ের কোটি পরিহিত জামায়াত আমিরের মাথায় এ সময় ছিল একটি জিন্নাহ টুপি। কখনো গালে হাত দিয়ে, কখনো আবার চেয়ারে হেলান দিয়ে তাকে শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকালে হাই কোর্টসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের অবস্থান। হাই কোর্ট এলাকায় প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা তল্লাশির পর।
ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের আগের রায়ের দিনগুলোতে দলটি হরতাল করলেও এবার তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। তারপরও কোনও অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।