মধ্য কার্তিকে এসে গ্রামে-গঞ্জে, নগর-বন্দরে কুয়াশার ছোয়া যেমন লেগেছে তেমনি দেখা দিয়েছে ঠাণ্ডা আমেজ। বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি।
মঙ্গলবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্তমানে রাতের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন।
তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যতই কমবে শীতের প্রকোপও বাড়বে। তখন দিনের ও রাতের তাপমাত্রা দুটোই কমে আসবে।
এদিন ঢাকা, ফরিদপুর, মংলা, সৈয়দপুর, হাতিয়া, বরিশাল, খেঁপুপাড়া ও সিলেটে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বুধবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা বলেন, “এখনো বৃষ্টি থাকায় গ্রাম থেকে শহরে সবখানে ঠাণ্ডা আমেজ এসেছে। শীত এখনও শুরু হয়নি। তবে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগেই আসতে পারে শীতের আবহাওয়া।”
তবে শীতের আগমনকে স্বাগত জানানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। এসব সবজির দাম খুব চড়া থাকলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি এগুলোর দাম কমে আসবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ দুমাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ [তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।
শুষ্ক আবহাওয়ায় ডিসেম্বর মাসের শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/ মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।