সাদুল্লাপুরে সেতু ভেঙে চলাচল বন্ধ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ধাপেরহাট সড়কে একটি সেতুর পাটাতন ভেঙে দুমাস ধরে বাস,মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তাজুল ইসলাম রেজাগাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2014, 01:31 PM
Updated : 28 Oct 2014, 01:31 PM

স্থানীয়দের অভিযোগ, ছোট ছোট যানবাহনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে হচ্ছে উৎপাদিত সবজি ও বিভিন্ন কৃষি পণ্য, যার ফলে বেড়ে যাচ্ছে পরিবহন খরচ কিংবা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব কৃষি পণ্য।  

ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান,দুই মাস আগে ধাপেরহাট সড়কের বকশিগঞ্জ বাজার এলাকার সেতুটির মাঝখানের ঢালাইয়ের কনক্রিট ভেঙে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।

ওই রাস্তার পাশে তৈরি বিকল্প সড়ক দিয়ে রিকশা, ভ্যান, ভটভটি, নসিমন চলাচল করলেও বন্ধ হয়ে গেছে বাস, ট্রাকসহ মালবাহী ভারি যান চলাচল।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলেও সংস্কারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি  বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী কুশু ধজ্ব প্রামানিক জানান, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাথে সাদুল্লাপুর উপজেলার একমাত্র সংযোগ সড়ক এটি। কিন্তু দুই মাস আগে ওই ব্রিজটির মাধখানে ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ভারি যান চলাচল।

এ কারণে গাইবান্ধা ও পলাশবাড়ী হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে মালামাল বহন করে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি লাগছে।

উপজেলা সদরের সবজি ব্যবসায়ী  আব্দুর রশিদ সরকার জানান, ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পাইকাররা আসছে না সবজি  কিনতে, ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক সবজি।

তরফ মহদি গ্রামের সবজি চাষি মোখলেছার রহমান বলেন, বকসীগঞ্জ হাটে ট্রাক না ঢোকায় বাইরের পাইকাররা সেইভাবে আসছেন না। ফলে  স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদিত সবজি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, গাইবান্ধার মধ্যে সাদুল্লাপুর কৃষি পণ্য উৎপাদনে একটি অগ্রসর উপজেলা।

বকসিগঞ্জে রোববার ও  বুধবার পাইকারী সবজির হাট বসে। এই হাটের সবজি কিনতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসত।  বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় পাইকাররা আর আসছেন না।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক জানান, আনুমানিক ২৫ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিজটি সংস্কারের জন্য  প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে এলজিইডির রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।