মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হস্তান্তরে চুক্তি হয়েছে। আমরা দেখছি তাদের কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমিরাত সফরে সোমবার দুবাইয়ে তার উপস্থিতিতেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্থানান্তর ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ তিনটি চুক্তি সই হয়।
এর মধ্যে ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্থানান্তর’ ও ‘নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা’ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামাল। আমিরাতের পক্ষে ছিলেন দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাইফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্থানান্তর চুক্তির আওতায় উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে আসামি হস্তান্তর করতে পারবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যে ধরনের চুক্তি আছে, এক্ষেত্রেও সেভাবেই হয়েছে। এটি একটি মানবিক চুক্তি, উভয় দেশের স্বার্থই রক্ষিত হবে।”
মন্ত্রিসভার অনুসমর্থনের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, আমিরাতের কারাগারগুলোতে বন্দি ১০১৯ বাংলাদেশির মধ্যে ১৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২১জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে দেশটির আদালত তাদের এই সাজা দিয়েছে।
আমিরাত আগে নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিলেও ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়। সেখানে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার হার বেড়ে যাওয়া এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজার। এক কোটিরও কম জনসংখ্যার এই দেশে কাজ করছেন দশ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি।