দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ লিভ টু আপিল শোনার জন্য ৬ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
রোববার দুদকের পক্ষে এ বিষয়ে শুনানি করেন খুরশিদ আলম। আর খালেদার পক্ষে ছিলেন জয়নাল আবেদীন।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া গত ১৪ অক্টোবর এ বিষয়ে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন রেখেছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন গত ২৩ এপ্রিল খারিজ করে হাই কোর্ট।
এর বিরুদ্ধে ৭ জুলাই লিভ টু আপিল করেন খালেদা। চেম্বার বিচারপতি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করে দিলে এই তারিখ এগিয়ে আনার জন্য ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করে দুদক।
এরপর চেম্বার বিচারপতি দুদকের বিষয়টি শোনার জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
এই লিভ টু আপিলের কথা বলে বিচারিক আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ বেশ কয়েকবার পিছিয়েছেন খালেদা জিয়া।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মামলার এজাহারে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আছেন জামিনে। বাকি দুজন পলাতক।
গত ১৯ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তার বৈধতা ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান খালেদা।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলাও বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।