শনিবার বিকালে মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের জাতির পিতা এবং এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মাজার জিয়ারত করেন। এরপর তিনি মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নামাজ আদায়ের পর শেখ হাসিনা মসজিদের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান মসজিদ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক ইউসুফ আল ওবায়দিলি।
শেখ হাসিনা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি সুভেনিয়র উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকালে আমিরাতে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান দেশটির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরিয়ম মোহাম্মদ খালফান আল রুমি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবুধাবির উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের প্রথম দুই দিন আবুধাবি এবং শেষ দিন দুবাই ও রাস আল খাইমাহ যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার সকালে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। রাতে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
সোমবার সকালে আবুধাবি থেকে দুবাই যাবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। সেখানে আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
সোমবার দুপুরে রাস আল খাইমাহর শাসক সাউদ বিন সাকর আল কাশিমির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
এরপর বিকালে দুবাই থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক ববি, তার স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিক ও তাদের সন্তানরা।