শনিবার বিকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
“আমরা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গ্রেপ্তারদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি।”
শনিবার লালমাটিয়ায় নিজ বাসায় বৈঠক করার সময় যুবদল সভাপতি আলালসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সরকার দেশকে ‘অন্ধকার গুহার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
“সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নতুন সংস্করণের বাকশাল তৈরি করে দেশবাসীকে একটি অন্ধকার গুহার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।”
“সুবিচারকে করা হয়েছে নির্বাসিত। অবিচারকেই এখন সুবিচার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে নগ্ন বাহুবলের মাধ্যমে। গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নটুকু কবর দিয়ে এখন স্বৈরতন্ত্র আর গোষ্ঠীতন্ত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে।”
মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও কিশোরগঞ্জের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব অবৈধ সরকারের হিংসাত্মক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।”
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।