‘নতুন দল গড়তে চেয়েছিল চার জঙ্গি'

নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে 'বাংলাদেশ জিহাদি গ্রুপ' নামে একটি নতুন জঙ্গি প্লাটফর্ম করতে চেয়েছিল দুই দিনের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের চার সদস্য জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দিয়েছে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা, টিকাটুলি এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

তারা হলেন, মো. রফিক আহমেদ ওরফে সাজিদ (৩৪), মো. উমর ওরফে ফয়জুল ওরফে রবি (২৫), মো. নাদিম আহমেদ ওরফে সুমন (৩০) ও মো. সালাউদ্দিন আহমেদ (২৯)।

শনিবার দুপুরে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা, টিকাটুলি ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহযোগিতায় গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রহমতউল্লাহ চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মাহমুদা আফরোজ লাকির নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের পাঁচটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হরকাতুল জিহাদের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে সাজিদ তাদের সংগঠক। তিনি অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতো। বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎস ছাড়াও পাকিস্তান থেকে আসতো তাদের অর্থ।

উমর রাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণির রসায়ন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, সে বোমা বানাতে পারে। গ্রেপ্তার করা হুজির অন্য সদস্যরা বোমা তৈরিতে তার দক্ষতা কাজে লাগাতে চেয়েছিল।

এছাড়া নাদিম ও সালাউদ্দিন বোমা তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ করতো।

এই জঙ্গিরা ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, "বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির উপর হামলারও পরিকল্পনা তাদের ছিল।"

"এছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন নিয়ে তারা বাংলাদেশ জিহাদি গ্রুপ নামের একটি নতুন জঙ্গি প্লাটফর্ম করতে চেয়েছিল।"

পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ব্রিফিংয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।