স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসাবে ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এক জানাজায় অংশ নিতে গেলে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিল।
শনিবার বাদ জোহর বেলা ১টা ৫০ মিনিটে ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী তার বাবার নামাজে জানাজা পড়ান।
এর আগে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার বাবা জীবদ্দশায় জ্ঞাত হয়ে কখনও কাউকে দুঃখ দেননি, কষ্ট দেননি। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেছেন।
“অথচ তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। আপনারা দোয়া করবেন আমার বাবাকে যেন আল্লাহ শহীদের মর্যাদা দান করেন।”
এর আগে বেলা ১২টার দিকে তার লাশবাহী গাড়ি মগবাজার থেকে বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১টায় লাশবাহী গাড়ি সেখানে পৌঁছায়।
এ সময় আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও নেতাকর্মীদের লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে যেতে দেখা যায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক লিটন হায়দার জানান, নির্বিঘ্নে লাশ বায়তুল মোকাররমে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
লিটন হায়দার জানিয়েছেন, লাশ নিয়ে যাওয়ার আগে বায়তুল মোকাররম এলাকায় পরপর কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
কে বা কারা হাতবোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
বায়তুল মোকাররমে জানাজার পর বিকাল পৌনে ৪টায় মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে দাফন করা হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযম সাজা ভোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৯২ বছর বয়সী গোলাম আযমের আরও ৮৯ বছর কারাভোগ বাকি ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের নেতৃত্ব দেন।