শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্ধু সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির (বিএসডব্লিউওএস) ওই সংগঠনের নেতারা আগামী নভেম্বরে এই স্বীকৃতি উদযাপনের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে হিজড়াদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এনিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে দ্বিমতও করেন সাংবাদিকরা।
গত বছর ১০ নভেম্বর হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব পাস করে মন্ত্রিসভা। এ ধরনের স্বীকৃতি লৈঙ্গিক সংখ্যালঘুগোষ্ঠী হিজড়াদের 'সামাজিক জীবনমান' উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন হিজড়া নেতা পিংকি বাদল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বীকৃতির প্রথম বছরে ৮ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর রাজধানীতে 'হিজড়া প্রাইড' শিরোনামে তিনদিনব্যাপি উৎসব করা হবে। এর মধ্যে থাকবে মতবিনিময় সভা, বর্ণাঢ্য র্যালি এবং ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা।
হিজড়াদের স্বাস্থ্য, জীবনমান উন্নয়ন ও মৌলিক অধিকার সমুন্নত করতে সরকার ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহায়তা নিয়ে কাজ করে বন্ধু সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বা বিএসডব্লিউওএস।
প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার হিজড়াকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার দাবি করলেও সারা দেশে হিজড়াদের সঠিক সংখ্যা কত, সাংবাদিকদের তা জানাতে পারেননি সংগঠনটির পরিচালকরা।
তবে সরকারি হিসাবে সারাদেশে হিজড়া সম্প্রদায়ের ১০ থেকে ১৫ হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানান বিএসডব্লিউএস’র চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম। যদিও প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হবে বলে নিজের ধারণার কথা জানান তিনি।