গদ্য-পদ্যে ১৫ অগাস্টের দুঃসহ স্মৃতিচারণ

কবিতা, সঙ্গীত আর গদ্যের অন্ত্যমিলে মঞ্চস্থ হল পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে জাতির জনকের নিহত হওয়ার স্মৃতি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 06:12 PM
Updated : 24 Oct 2014, 06:31 PM

শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রায় দুই ঘণ্টার কাব্যিক সংলাপে বিপথগামী সেনাদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন আবৃত্তি সংগঠন মুক্তবাকের শিল্পীরা।

বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘আগস্টের একরাত’ অবলম্বনে গদ্য-পদ্যের আবহে পরিবেশনাটি নির্মাণ করেন মুক্তবাকের ইকবাল খোরশেদ।

১৫ অগাস্টের কালরাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করতে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা চালায় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একদল বিপথগামী কর্মকর্তা। ভোরের আলো ফোঁটার আগেই তারা একে একে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু, তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শিশু রাসেলসহ বাড়ির সব সদস্যকে। ঘাতকদের ১৮টি বুলেট একে একে বঙ্গবন্ধুর শরীরে বিদ্ধ হয়।

ঘাতকের বুলেটে নিথর বঙ্গবন্ধু

হত্যাযজ্ঞের তিন দশকের বেশি সময় পর দোষীদের কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেদিন বেঁচে যাওয়া ৩২ নম্বরের প্রহরীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন। সব শুনে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডও দেন বিচারক।

এসব ঘটনা উঠে আসে ২০১৩ সালে প্রকাশিত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ইতিহাসধর্মী উপন্যাসে। ওই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত পরিবেশনায় হত্যাযজ্ঞের আদ্যোপান্ত যেন বাস্তব হয়ে রূপ পায়।  

পরিবেশনায় কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে সবাক হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, টবাকো পাইপ, সাহসী তর্জনী। বঙ্গবন্ধুর যাপিত জীবনের নানা স্মৃতি বর্ণনা করা হয়।

মঞ্চে আনা হয় ৩২ নম্বর বাড়ির কর্মচারী, প্রহরী ও বঙ্গবন্ধুর বাল্যবন্ধুদের চরিত্রগুলোকে।

শোকগাথা নিয়ে আসে শ্রাবণের বৃষ্টি, মেঘের ছায়া ও পৌষের পিঠাপুলি।