বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খান জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শহরের শেরপুর রোডের একটি ক্লিনিক থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এরা হলো- বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হাওলাদার (১৯) এবং সাবেক সদস্য সোহান (১৬), রাহাত (১৮), বিপুল (২০) ও দেলাল (১৯)
এএসপি নাজির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিমুল হক রেহান হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৈনিক লীগ নেতা সবুজ সওদাগরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিবদমান দুটি পক্ষের সমর্থকদের কয়েকদিন ধরেই জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনটির একাধিক নেতা জানান, আসাদুজ্জামান খান সুমন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। দুই মাস আগে ওই কমিটি বাতিল করে শিমুল হক রেহাকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
রেহান আহ্বায়ক হয়েই সংগঠনের বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রাম ও গাবতলী উপজেলা শাখা কমিটি ভেঙ্গে দেন। এর পর দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
এর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গত ২২ অক্টোবর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুর পর তা থমকে যায়।