শুক্রবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান ২৩ মাস আগে পুড়ে যাওয়া কারখানাটির ১৫ জন নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরিনের ওই আগুনে পুড়ে নিহত হন অন্তত ১১২ জন শ্রমিক। এছাড়া নিখোঁজ ছিলেন আরও অনেকেই।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই নিখোঁজদের নিয়ে মালিকপক্ষ ও সরকার তালবাহানা করছে। যেসব পুড়ে যাওয়া দেহ চেনা যায়নি, আর যেসব পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে চেনার ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা যথাযথভাবে হয়নি। এখনও জুরাইন কবরস্থানে ১১টি কবর অসনাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তারা বলেন, যেসব পরিবারের সদস্য নিখোঁজ রয়েছে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকার বা মালিকপক্ষ তাদের কথা কিছু ভাবছে না। বরং অনুদান ও ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার জন্য তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম ফয়েজ হোসেন, ফোরামের অর্থ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, নিখোঁজ শ্রমিক আমেনার ছেলে ও সুমাইয়ার মা, নৃ বিজ্ঞানী সাইয়েদা গুলরুখ প্রমুখ।
নিখোঁজ ওই শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ১০০টি পরিবার চিহ্নিত করেছেও। কিন্তু কোনো ক্ষতিপূরণ তাদের দেয়া হয়নি।
এসব পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান তারা।
বক্তব্য শেষে সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় ঘুরে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে আসে।