চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাবে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
শুক্রবার দুপুরে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান প্রেসক্লাব সভাপতি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে সনাক্ত হওয়া চারজনকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর আটক করা হয়েছে।
এরা হলেন, শহরের জিনতলা মল্লিক পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রাব্বি (২৮), আশরাফ আলীর ছেলে আজম আলী (৩০), আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সেতু (২৮) ও শহরের কেদারগঞ্জ মালোপাড়ার বুড়ো কুমারের ছেলে তপন কুমার (২৫)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে বের হয়। তারা প্রেসক্লাব অতিক্রমের সময় কয়েকজন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের হলরুম থেকে রাস্তায় বের হন।
সংবাদ সংগ্রহে ছবি তুলছে এই সন্দেহে অস্ত্রধারীরা হঠাৎ করেই প্রেসক্লাবে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় প্রেসক্লাবের সামনে থাকা পাঁচটি মোটরসাইকেলেও ভাংচুর চালায় এবং ওই চার সাংবাদিককে পেটায়।