কমনওয়েলথের অবস্থান বদলায়নি: শমশের

সিপিএ ও আইপিইউয়ের শীর্ষ পদে বাংলাদেশের প্রার্থীদের জয়ের সঙ্গে বর্তমান সরকারের স্বীকৃতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 03:02 PM
Updated : 24 Oct 2014, 04:40 PM

শুক্রবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবের হোসেন চৌধুরীর বিজয়কে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বলেছেন, এতে তারা নাকি বিশ্ব বিজয় করেছেন।

“আমি আপনাদের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ওই তথাকথিত নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এখনো তারা (যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ) তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি।”

গত ৯ অক্টোবর ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউনদেতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬০তম সম্মেলনে সরাসরি ভোটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সংগঠনটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

১৬ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ১৬৪টি দেশের আইনসভার সংগঠন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৩১তম সাধারণ অধিবেশনে ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।

বুধবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই দুজনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়, যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথাকথিত সরকারকে বলেছে, কালক্ষেপণ না করে সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে। তাই সিপিএ ও আইপিইউতে বিজয় কথিত নির্বাচনের বিষয়ে কমনওয়েলথ দেশের সরকারগুলোর অবস্থান পরিবর্তনের প্রতিফলন নয়।

“যখনই তথাকথিত সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশিদের দিয়ে ওই নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলানোর চেষ্টা হয়েছে, ভিন্ন কথা বলানো হয়েছে। তারা (জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও যুক্তরাষ্ট্র) পরিষ্কার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তারা পূর্বের অবস্থানেই অনড় আছেন।”

‘তাহলে সিপিএ ও আইপিউইতে তারা বিজয়ী হল কেন’–নিজে প্রশ্ন রেখে উত্তরে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের যেসব অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। দেশের নির্বাহী প্রধানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। ওইসব অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের ফলাফল ওইসব দেশের সরকারের অবস্থানের প্রতিফলন নয়।”

সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বর্তমান সংকটের অবসান হতে পারে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই আমলা।

সম্প্রতি জার্মানীতে অনুষ্ঠিত ১০ দেশের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের বৈঠক সর্ম্পকে শমসের মবিন বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে ওইসবকে বৈঠক দাবি করা হলেও তা ছিলো ফটোসেশন। ওই অনুষ্ঠানের অর্থ এই নয় যে এখানের তথাকথিত নির্বাচনকে সম্মতি দেয়া।’’