গোলাম আযমের লাশ পাকিস্তানে পাঠানোর দাবি

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের সাজার মধ্যেই মারা যাওয়া জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের লাশ বাংলাদেশে দাফন না করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 02:39 PM
Updated : 24 Oct 2014, 04:32 PM

বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয় বলে সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে গড়া এই বাংলাদেশের মাটি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে দাফনের মধ্য দিয়ে ‘অপবিত্র’ করতে দেওয়া যায় না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতীক গোলাম আযম।

শনিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজার পর মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। 

গোলাম আযমকে ‘পাকিস্তানের নাগরিক’ উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তার মৃতদেহ সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ ছাড়ার পর ৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করে ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন গোলাম আযম।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে তার সর্বোচ্চ সাজা প্রাপ্য হলেও গতবছর ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

রায়ে তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারী মূল ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়। আরো বক্তব্য দেন চেতনা ৫২ এর সভাপতি সাইফুল আলম টিটো, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমদ, গণতন্ত্র লীগের সভাপতি এমএম জলিল ও জাসদ নেতা হুমায়ুন কবীর।