বগুড়ায় আ. লীগ অফিসে সৈনিক লীগ নেতা খুন

কমিটি নিয়ে চলমান কোন্দলের মধ্যে বগুড়া জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা আহ্বায়ক শিমুল হক রেহান (৪০) নিহত হয়েছেন।

বগুড়া প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 01:44 PM
Updated : 24 Oct 2014, 05:41 PM
সদর থানার ওসি ফাইজুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের সাতমাথায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তারা ওপর হামলা হয়।

ওসি ফায়জুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোয়া ৬টার দিকে আওয়ামী লীগ অফিসের মধ্যে রেহানকে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি দৌড়ে বাইরে চলে আসেন।”

গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।

এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বগুড়া শহর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক গোলাম মাহমুদ বিদ্যুৎ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিটি নিয়ে দ্বন্দের কারণেই প্রতিপক্ষের হাতে জীবন দিতে হলো রেহানকে।”

তবে কারা রেহানকে খুন করেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেনি পুলিশ।

এদিকে রেহান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাত ৮টার দিকে শহরের শেরপুর রোডের একটি ক্লিনিক থেকে পাঁচজনকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খান।

এরা হলো- বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হাওলাদার (১৯) এবং সাবেক সদস্য সোহান (১৬), রাহাত (১৮), বিপুল (২০) ও দেলাল (১৯)

বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিবদমান দুটি পক্ষের সমর্থকদের কয়েকদিন ধরেই জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনটির একাধিক নেতা জানান, আসাদুজ্জামান খান সুমন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। দুই মাস আগে ওই কমিটি বাতিল করে শিমুল হক রেহাকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। রেহান আহ্বায়ক হয়েই সংগঠনের বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রাম ও গাবতলী উপজেলা শাখা কমিটি ভেঙ্গে দেন। এর পর দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গত ২২ অক্টোবর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুর পর তা থমকে যায়।