এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে আহসান উল্লাহ (৪০) নামের ওই ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধেও সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আহসান উল্লাহ সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের সালেপুরের নুর মোহাম্মদের ছেল। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
স্ত্রী নুরুন্নেছা মনি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার আব্দুল লতিফ সর্দারের মেয়ে। তারা রাজধানীর আদাবরে বসবাস করছিলেন।
নুরুন্নেছা মনির মা মায়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। ওই সময় গহনা, আসবাবপত্রসহ নানা উপহার দেন তারা।
কিন্তু বিয়ের বছর না গড়াতেই আহসান উল্লাহর চরিত্র ফুটে উঠতে থাকে। রাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরে। যৌতুক দাবি করে মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
তিনি জানান, কয়েক দফায় আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় আহসানকে। মাদকের পিছনে সেই টাকা শেষ করে আবার টাকা দাবি করে এবং নুরুন্নেছাকে নির্যাতন করতে থাকে।
এসব ঘটনা নিয়ে কয়েক দফায় এলাকায় বিচার সালিশও হয়েছে।
মায়া খাতুন বলেন, গত রোববার সকাল ৯টার দিকে দুই লাখ টাকা দাবি করে নুরুন্নেছার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে আহসান। এক পর্যায়ে তার জননাঙ্গে মরিচের গুড়া ঢেলে দেয় সে।
তখন মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পর বুধবার রাতে নুরুন্নেছাকে তার মা আদাবরের বাসায় নিয়ে যান।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে নুরুন্নেছা মনি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় আহসান উল্লাহ ও তার বড় দুই বোনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি তদন্ত করে মামলা নথিভুক্ত করা হবে। পারিবারিক বিরোধের কারণে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আহসান উল্লাহ গত সোমবার স্ত্রী নুরুন্নেছা মনির বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো চলাফেরা, বাড়িতে কাউকে না বলে বাইরে চলে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহসান উল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।