চাঁদাবাজি: পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন

রাজধানীর বংশাল থানার এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সকালে মামলা দায়েরের পর বিকালে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এক ব্যবসায়ী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 06:01 AM
Updated : 24 Oct 2014, 06:06 AM

সমঝোতার কথা বলে ওই আবেদন করা হলেও বাদীর আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার পর তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ হয়ে গেছে বলে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

তবে প্রচলিত আইনে চাঁদাবাজির মামলায় আপোষ বা তা প্রত্যাহারের কোনো বিধান নেই।

বংশালের হাজি আবদুল সরকার লেনের ব্যবসায়ী মো. মকবুল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যাতে বংশাল থানার এসআই  মুশফিকুর রহমান ওরফে মুরসিদ  এবং কনস্টেবল মোয়াজ্জেম ও প্রদীপের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়।

পরে তার আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান সুজন সাংবাদিকদের বলেন, চাঁদার সাড়ে তিন লাখ টাকা ফেরত পাওয়ায় মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বকৃহস্পতিবার বিকালে মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আবেদন করেছেন তারা।  

অভিযোগকারী মকবুল বংশালের ‘কোয়ালিটি এক্সেসরিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালান।

মামলার আর্জিতে তিনি বলেন, এসআই মুরসিদসহ তিন জন গত ২০ অক্টোবর রাতে তার প্রতিষ্ঠানে এসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে তার বিরুদ্ধে ‘ইয়াবা রাখার মামলা’ করাসহ পুরনো মামলায় ‘ফাঁসিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়া হয়।

এ পরিস্থিতিতে মকবুল ওই তিন পুলিশকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। পরে আসামিরা তার কাছ থেকে জোর করে একটি সাদা কাগজে সই নিয়ে যায় বলেও মকবুল জানান।

পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা ও ঘটনা অফিসের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে জানিয়ে প্রমাণ হিসেবে এসব ভিডিও টেপও আদালতে দাখিল করেন বাদী।

মকবুল বলেছেন, ঘটনার পরদিন বংশাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এ কারণেই তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন।  

বৃহস্পতিবার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ১০ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখে আদালত। অভিযোগ তদন্তের করে আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।