মগবাজারে দাফন করতে চায় গোলাম আযমের পরিবার

যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে রাজধানীর মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের পরিকল্পনা নিয়েছে তার পরিবার।

মোবারক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 07:32 PM
Updated : 23 Oct 2014, 07:32 PM

তবে কবে দাফন হবে এবং জানাজা কবে হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তার ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৯২ বছর বয়সী গোলাম আযম।

ওই সময় হাসপাতালে উপস্থিত আব্দুল্লাহিল আযমী সাংবাদিকদের বলেন, “মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে উনার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।”

দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, “দাফন আনুমানিক দুই বা তিন দিন পর হবে। কারণ তার ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচজনই দেশের বাইরে আছেন। তারা ফিরলে দাফন হবে।”

জানাজার বিষয়ে গোলাম আযমের ছেলে বলেন, “বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জানাজা পড়াবেন। কিন্তু তারা দুজনেই কারাগারে থাকায় জানাজা কে পড়াবেন, তা দলের নেতারা ও পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

গোলাম আযমের লাশ এখন কারা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ঢাকার জেলার মো. নেছার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তবে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ চাইছেন। লাশ হস্তান্তরের পর তা হিমঘরে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

আব্দুল্লাহিল আযমী বলেন, “লাশের ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলেই তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে।”

আযমীর আগে গোলাম আযমের আইনজীবী তাজুল ইসলামও দাফন ও জানাজার বিষয়ে গোলাম আযমের ‘ইচ্ছার’ কথা জানিয়ে তা পূরণের আশা প্রকাশ করেন।

“এখন তিনি মারা গেছেন। আমরা আশা করি, মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার তার শেষ দুটি ইচ্ছা পূরণ করবে।”

মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতের আমির বিচারাধীন অবস্থা থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। গত বছর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের পরও সেখানেই রাখা হয় তাকে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের আপিলের শুনানির দিন ঠিক হওয়ার পর ৯২ বছর বয়সী গোলাম আযমের অবস্থার অবনতি ঘটার খবর আসে। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।