বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল গণির সঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।
আন্দোলনকারীদের একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হোসনে আরা বেগমের পরিবর্তে জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা মিলি চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করায় এবং আরেক অভিযুক্ত রুবি দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক।
হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম ছুটিতে গেছেন। ওনার চাকরির সময়সীমা শেষ পর্যায়ে। ফলে ওনার আর নার্সিং কলেজে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা রুবি দত্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে আগামী রোববার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গণি।
গত ২০ অক্টোবর কলেজের চার বর্ষের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন।
প্রথম বর্ষের ৮৩ জনের মধ্যে ৩০ জন, দ্বিতীয় বর্ষে ৪৩ জনের মধ্যে ৩২ জন, তৃতীয় বর্ষে ৭৯ জনের মধ্যে ৩৬ জন এবং চতুর্থ বর্ষে ৫২ জনের মধ্যে ১৯ জন পাস করেন।
একে ফল বিপর্যয় অভিহিত করে কলেজ অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা রুবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
ইচ্ছাকৃত ফলাফল বিপর্যয় ঘটানোর অভিযাগ তুলে তাদের অপসারণ দাবিতে এদিন থেকেই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
তারা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক ঘণ্টা পরে হাসপাতাল পরিচালক শহীদুল এসে হোসনে আরাকে মুক্ত করেন।
পরদিন ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা মানছে না ব্যাখ্যা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ।