বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে ওই চালকের নাম তিনি জানাতে পারেননি।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “চালকদের দুইজনকে মৃত বলা হয়েছিল, আসলে একজন মারা গেছে, আরেকজন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
“কেয়া পরিবহনের চালক বেঁচে আছেন।” বলেন মন্ত্রী।
নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই বাসের সংঘর্ষে ৩৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি বাসের মালিক, চালক ও তার সহকারীকে দায়ী করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
গত সোমবার বড়াইগ্রামে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহনের বাসটির সঙ্গে নাটোর শহর থেকে গুরুদাসপুরগামী অথৈ পরিবহনের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেয়া পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। সড়কের পরিস্থিতি ও যানবাহনের গতিবিধি না বুঝেই তিনি একটি ট্রাককে ‘ওভারটেক’ করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাককে ওভারটেক করার চেষ্টাই দুর্ঘটনার মূল কারণ।”
দুই বাসের সংঘর্ষের পর আহত যাত্রীরা যখন রাস্তায় পড়ে ছিলেন, তাদের চাপা দিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে চলে গেলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
মন্ত্রী জানান, কেয়া পরিবহনের বাসটির (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫৬৫৬) ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট হালনাগাদ ছিল না। আর অথৈ পরিবহনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ভুয়া (সিলেট ব-১১-৬৩৮৪)। নিয়ম ভেঙে তারা ছাদে ৪৬ থেকে ৪৭ জন যাত্রী তুলেছিল।