আসামিরা হলেন- একরামুল হক ও রুবেল হাওলাদার। দুজনই বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ওবায়দুস সোবহানের আদালতে এ মামলা করেন বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা রেজিয়া বেগম।
বিচারক মামলা আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম নামের একজনের কাছ থেকে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় একটি দোকান কিনে ৫ ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেন রেজিয়া বেগম।
মামলায় বলা হয়, ভাড়া নিয়ে সেখানে চায়ের দোকান খোলেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু দোকানের আগের মালিক আবুল কালামের প্ররোচনায় ১১ অক্টোবর এসআই একরামুল হক ভাড়াটিয়াকে দোকান বন্ধের নির্দেশ দেন। পরদিন এসআই রুবেল ওই দোকানের কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান এবং দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।
এজাহারে বলা হয়, এ দুজনকে ছাড়াতে রেজিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এসআই একরামুল ও রুবেল।
রেজিয়া বেগম দোকান খুলে দিতে অনুরোধ করলে একরামুল ও রুবেল আবার টাকা দাবি করেন বলে মামলায় দাবি করা হয়।
সর্বশেষ বুধবার দুই এসআই বাদিকে দোকানটি ছেড়ে না দিলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।