ম্যাচ ফিক্সিং: আইসিসি-বিসিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আইসিসি ও বিসিবি’র শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ‍পাতানোর বিষয়ে জেনেও খেলা বন্ধ না করে প্রতারণা ও দর্শকদের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 12:52 PM
Updated : 23 Oct 2014, 01:21 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর ‍হাকিম মশিউর রহমানের আদালতে অভিযোগ করেন ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী।

অভিযুক্তরা হলেন-  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা শাখার (আকসু) চেয়ারম্যান স্যার রোনাল্ড ফ্ল্যানাগন, আকসু প্রধান যোগেন্দ্র পাল সিং, আকসু কর্মকর্তা ধর্মবীর যাদব, ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কোচ ইয়ান মাইকেল পন্ট ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

বাদির আইনজীবী মাহমুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও চিটাগাং কিংসের মধ্যে বিপিএলের খেলা ছিল।

“আগের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে ছয় হাজার ডলারের বিনিময়ে ঢাকা গ্লাডিয়ের্টসের কোচ ইয়ান মাইকেল পন্টের কাছে ম্যাচটি পাতানোর প্রস্তাব করা হয়। বিষয়টি খেলার দিন সকালে ইয়ান পন্ট আকসু কর্মকর্তা ধর্মবীর যাদবকে জানান।”

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাবদাতার বরাত দিয়ে ইয়ান পন্ট ধর্মবীরকে বলেন, দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিশ্রাম দিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ওই খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে।  

অভিযোগের আবেদনে বলা হয়, কোচ ইয়ান পন্ট প্রস্তাবদাতার সঙ্গে ফোনালাপের ধারণকৃত রেকর্ড ধর্মবীরকে দেন।

ফাইল ছবি

মাহমুদুর রহমান বলেন, ধর্মবীরের কাছ থেকে আকসু প্রধান যোগেন্দ্র পাল সিং, তার কাছ থেকে আকসু চেয়ারম্যান স্যার রোনাল্ড ফ্ল্যানাগন এবং তার কাছ থেকে আইসিসির সিইও ডেভিড রিচার্ডসন বিষয়টি জানতে পারেন বলে।

“ম্যাচ পাতানোর মতো বেআইনি ঘটনার বিষয়ে জানার পরও আসামিরা খেলা থামানোর চেষ্টা করেনি। পাশাপাশি তারা স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতাও চায়নি।”

বিষয়টি জানার পরও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা না চাওয়ায় বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও আরজিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

বাদির আইনজীবী বলেন, এঘটনা তদন্তে গঠিত বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামিরা তাদের দোষ স্বীকার করেছিলেন। ম্যাচ পাতানোর বিষয়টি জানার পরও খেলা বন্ধ না করে তারা সাধারণ দর্শকদের সাথে প্রতারণা করেছেন ও তাদের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন।

আইসিসি ও বিসিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৮, ৪২৫, ৪২৭ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউসন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিপিএলের খেলা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আদালত অভিযোগটির বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।