কয়েকজন রোগী বলেন, তাদের জিনিসপত্র, ওষুধ, টাকাপয়সাসহ মূল্যবান মালামল চুরি হচ্ছে প্রতিদিন। অথচ এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।
হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মচারী ওই দুর্বৃত্তদের সহযোগিতা করছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবদুল কাদের খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালের ৪০টি ওয়ার্ডে ৫০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালের কর্মচারী পরিচয়ে কিংবা কর্মচারীদের সহযোগিতায় এলাকার বখাটেরা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। পরে রোগী ও স্বজনরা ঘুমালে অথবা রোগী শৌচাগারে গেলে সুযোগ বুঝে তাদের ওষুধ ও জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ বা আনসার নেই, এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে হাসপাতালের কর্মচারীরা। চোর ধরতে কর্মচারীদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পরিচালক।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বকুল বলেন, “চুরি যে হচ্ছে না তা অস্বীকার করব না। বহিরাগত বখাটেরা এসব চুরির সঙ্গে জড়িত।
তবে কর্মচারী সমিতি, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের সহায়তায় সেপ্টেম্বর মাসে ১০ জন চোরকে আটক করে পুলিশে দেওয়ার পর চুরি অনেকটাই কমে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী আবুল কাশেম বলেন, বুধবার বিকালে তার ছেলে খাবার আনতে বাইরে যাওয়ার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। আধাঘণ্টা পর ছেলে ফিরে এসে দেখেন প্রায় ৯০০ টাকার ওষুধ চুরি হয়ে গেছে।
ওয়ার্ডে ওই সময় দায়িত্বরত নার্সকে অভিযোগ করে কোনো লাভ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মহিলা ওয়ার্ডের রোগী আফরোজা বেগম বলেন, “সোমবার সকালে আমার স্বামী বাড়িতে যান। বিকালে টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখি বেশকিছু ওষুধ ও বিছানার নিচে রাখা দুই হাজার টাকা নাই।”