ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে অস্ত্র উদ্ধারের সাজানো নাটকে এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে আহত গাড়িচালক শাহ আলমকে দেখতে বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সাপ্তাহিক না হলেও অন্তত মাসে একবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যারা অস্ত্র বহন করেন, তাদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তারা অস্ত্রবহনে, দায়িত্বপালনে মানসিকভাবে সক্ষম ও প্রস্তুত কি না- তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন।”
মানসিক চাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকলে তা ‘দুঃখজনক’ হবে বলেও মন্তব্য করেন মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “দেশের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অমানবিক ও নির্মম আচরণ করতে পারে না। শাহ আলমকে গুলি করার ঘটনায় মানবাধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।”
ওই অভিযোগ ওঠার পর এসআই আনোয়ারকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন শাহ আলমের ভাই গোলাম মোস্তফা।
মিজানুর রহমান বলেন, সরকার জাতিসংঘ থেকে পুরষ্কার পেলেও দেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে ‘রাষ্ট্রের ব্যর্থতা’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “লিমনকে গুলি করে পঙ্গু করার ঘটনায় একটি বাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে।তাদেরকে অবিলম্বে শাস্তির মুখোমুখো দাঁড় করাতে হবে।”
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও (এইচআরডব্লিউ) ঝালকাঠির তরুণ লিমন হোসেনের পঙ্গুত্বের জন্য ‘দায়ী র্যাব সদস্যদের’ বিচারের দাবি জানিয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাড়ে তিন বছর আগে লিমনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি ছিল ‘নিছক দুর্ঘটনা’।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত হন লিমন হোসেন। সে সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী লিমনকে বাঁচাতে একটি পা কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।
প্রতিমন্ত্রীর ভাষায়, অভিযান চালাতে গেলে ‘দুর্ভাগ্যক্রমে দুই একজন ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়ে যায়; লিমন সে রকমই একজন।