আগের দিনের মতো বৃহস্পতিবারও জেলায় আভ্যন্তরীণ রুটের বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিবহন শ্রমিকরা ভোলা বাসস্ট্যান্ডের সামনের প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখায় জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোর পথে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
ভোলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কালামের অভিযোগ, বুধবার অটোরিকশা মালিক সমিতির সেক্রেটারি কুতুব জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় অটো শ্রমিকরা আটটি বাসে ভাংচুর চালায়।
এর পরপরই জাহাঙ্গিরের গ্রেপ্তারসহ বাস ভাংচুরের বিচার চেয়ে বুধবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করে বাস মালিক সমিতি।
ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যাত্রী পরিবহন নিয়ে অটোশ্রমিকদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ ও ভাংচুর হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলায় ভোলা ও চরফ্যাশনের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত নয়জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অটোরিকশা মালিক সমিতির সেক্রেটারি জাহাঙ্গিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।