মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রবণ  ১৩টি বাঁক

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধা  অংশে ৩২ কিলোমিটারে দুর্ঘটনা প্রবণ ১৩টি বাঁক রয়েছে, যার নয়টিই অধিক দুর্ঘটনা প্রবণ ।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 03:49 PM
Updated : 22 Oct 2014, 03:49 PM

এসব বাঁকে দুর্ঘটনা রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে সর্তকতামূলক সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম খান  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা থেকে ধাপেরহাট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এলাকায় ১৩টি বাঁক রয়েছে।

২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি সমীক্ষা দল মহাসড়কটির গাইবান্ধা অংশে ১৩টি বাঁককে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত  করে, যার মধ্যে নয়টি বাঁক অধিক দুর্ঘটনা প্রবণ।

একই বছরের জুলাই মাসে অধিক দুর্ঘটনা প্রবণ নয়টি স্থান গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা বাসস্ট্যান্ড, বকচর, বোয়ালিয়া, কালিতলা, চাপড়িগঞ্জ, কাটাখালি, কোমরপুর বাজার, নুনদহ (জুমার ঘর) ও দরগা এলাকায় সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় জেলা পুলিশ।

দুর্ঘটনা প্রবণ অন্য বাঁকগুলো হলো পলাশবাড়ীর নুনিয়াগাড়ি,  গিরিধারীপুর,  রেস্ট হাউজ ও সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট।

সাদুল্লাপুর উপজেলার ট্রাক চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে গাইবান্ধা অংশে দুই-তিন কিলোমিটার পরপরই বাঁক। এসব বাঁক অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে যানবাহন আসছে কিনা বোঝা যায় না। ফলে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা মটর শ্রমিক নেতা সুরুজ হক বলেন, এসব বাঁক এলাকায় গতিরোধক নেই। ফলে উভয়দিক থেকে দ্রুত গতিতে যানবাহন বাঁক অতিক্রম করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। বিষয়টি সড়ক বিভাগকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব বাঁকে ৩০টি দুর্ঘটনা  ঘটেছে। এতে ৩১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।

সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া অধিক দুর্ঘটনা প্রবণ বাঁকগুলো সাবধানে অতিক্রম করার জন্য পরিবহন চালকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ রাতে বাঁকগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখছে বলে জানান তিনি।

গতিরোধক নির্মাণের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম খান  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাঁকগুলোতে সওজের পক্ষে গতিরোধক নির্মাণ করা সম্ভব নয়। এজন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েও পাওয়া যায়নি।”

এছাড়া গতিরোধকের কারণে চাঁদাবাজি, ডাকাতির ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষত রাতে যখন যানবাহন ধীর গতিতে গতিরোধক অতিক্রম করে তখন ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো জানান, ২০১২ সালে নয়টি বাঁক ভেঙে মহাসড়ক সোজা করার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।