গাছ পাচারের দায়ে বন কর্মকর্তার সাজা

মৃত ব্যক্তির নামে রাঙ্গামাটির পাহাড়ের জমি বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রির দায়ে তিনটি মামলায় তিন বন কর্মকর্তাসহ চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 03:37 PM
Updated : 22 Oct 2014, 03:37 PM

বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- রাঙ্গামাটির শুভলং এলাকার বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, আলী আকবর হোসেন, মোমিনুর রশিদ ও হেডম্যান রাবনা চাকমা। চারজনই পলাতক আছেন।

বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারজনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।”

আদালত সূত্র জানায়, শিশুধন চাকমার নামে জমি বরাদ্দ নিয়ে চার লাখ ২৮ হাজার ১৬৫ টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগে করা মামলায় চার জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড, দুই হাজার ‍টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ধক্কা চাকমার নামে জমি বরাদ্দ নিয়ে চার লাখ ১২ হাজার ৪৯৭ টাকার গাছ বিক্রি করায় আলী আকবর হোসেন, মোমিনুর রশিদ ও রাবনা চাকমাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আর অবিরত তঞ্চঙ্গ্যার নামে জমি বরাদ্দ নিয়ে চার লাখ ৩৫ হাজার ৪৭৪ টাকার গাছ বিক্রি করায় চারজনকে তিন বছরের সাজা দেয়া হয়।

আইনজীবী মেজবাহ জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে স্থানীয় তিন মৃত ব্যক্তি- শিশুধন চাকমা, ধক্কা চাকমা ও অবিরত তঞ্চঙ্গ্যার নামে প্রতারণামূলকভাবে পাহাড়ে জমি বরাদ্দ নিয়ে সেখানকার সেগুন গাছ কেটে বিক্রি করা হয়।

এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর রাঙ্গামাটি এলাকার কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহ দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭৭ (ক) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় তিনটি মামলা করেন।

এসব মামলায় ২০০২ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু হয়।