বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবের হোসেন চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপারসন এবং সাবের হোসেন চৌধুরী ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিরিন শারমিন ও সাবের হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক সন্দীপ বলেন, “এ বিজয় উপমহাদেশের গৌরব। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
ভবিষ্যতেও ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান দেশটির ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী।
এর আগে কখনো কোনো দেশ একসঙ্গে আন্তর্জাতিক এ দুই ফোরামের শীর্ষ নেতৃত্বে আসেনি বলে জানান তিনি।
“আজ খুব আনন্দ লাগছে। অনেকটা দ্বিধায় পড়েছি- আমি বাঙালী হয়ে কথা বলছি, না ভারতের প্রতিনিধি হয়ে বলছি। আমার বাংলা উচ্চারণ ভালো নয়, তবুও বাংলায় বক্তব্য রাখছি,”বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসন, স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সংসদীয় দলের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি স্পিকার, প্রধান হুইপ, সংসদ সচিবালয়ের সচিব সংবর্ধনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী, সিপিএ চেয়ারপারসন ও আইপিইউ পেসিডেন্টকে আলাদা আলাদাভাবে ফুলের তোড়া দেন।
গত ৯ অক্টোবর ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউনদে-তে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬০তম সম্মেলনে সরাসরি ভোটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন।
এরপর সপ্তাহ না ঘুরতেই সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্বের ১৬৪টি দেশের আইনসভার সংগঠন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩১তম সাধারণ অধিবেশনে ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবের হোসেন।