সংসদের আগামী অধিবেশনে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট

পুঁজিবাজারের ‘স্বচ্ছতা’ নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 01:12 PM
Updated : 22 Oct 2014, 01:13 PM

বুধবার রাজধানীর ইন্সস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে (আইডিইবি) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ আয়োজিত ‘সিএসই ইন্টারনেট ট্রেড ফেয়ার-২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী এই মেলায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ইন্টারনেটে লেনদেনের বিষয়ে হাতে-কলমে জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট পাস হলে পুঁজিবাজারে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

“সরকার সব সময় রেগুলেটারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে,” বলেন তিনি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. খায়রুল হোসেন বলেন, “দেশের পুঁজিবাজার গত দেড়-দুই বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। কারণ এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে।”

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরো বলেন , “দেশের শিল্পায়নের জন্য পুঁজিবাজারের ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। কারণ ব্যাংক থেকে ১৭/১৮ শতাংশ হারে ঋণ নিয়ে দেশের শিল্পায়ন সম্ভব না।”
 
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ বলেন, “মেলায় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, তা আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরব।

“প্রয়োজন হলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিভিন্ন আইনেরও সংস্কার করা হবে। তবে এ মেলায় আমরা বিনিয়োগকারীদের হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি, যাতে তারা শেয়ারবাজারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারেন।”

মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন বলেন, “আমরা ইন্টানেট ট্রেডিং চালু করেছিলাম ১৯৯৭ সালে। ২০১০ সালে এটাকে আরও আপডেট করা হয়। তবে সে সময় ইন্টারনেটের এত প্রসার না থাকায় ব্যবস্থাটি বিস্তার লাভ করেনি। বর্তমান সরকারের আমলে ইন্টারনেটের প্রসার হওয়ায় আমরা এ মেলার আয়োজন করেছি।
 
“ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে লেনদেনে যেসব আইন মেনে চলা হয় ইন্টারনেট লেনদেনে তা মানা হবে। আর মানুষ এখন দেখে-শুনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে পারবে।

“এর ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি বাড়বে। বাজারে শেয়ারের চাহিদ বাড়বে এবং চাহিদা পূরণের জন্য নতুন নতুন আইপিও অনুমোদন দিতে হবে।”

মেলায় অংশ নেওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, বি রিচ লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, রয়েল ক্যাপিটাল, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, ব্রাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, বিডিবিএল সিকিউরিটিজ, ব্রিটিশ বাংলা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ।