মঙ্গলবার জেনেভায় ফোরামের নীতিনির্ধারণী পরিচালক সভা এবং এর বিগত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চেয়ারপারসনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
২০১৬ সালে ফোরামের নবম বৈঠক আয়োজন করবে বাংলাদেশ। তার পরের বছর বৈঠক আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে তুরস্ক।
২০০৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ এই ফোরামের বৈঠক শুরুর পর এবারই প্রথমবারের মতো তা আয়োজনের দায়িত্ব পেল বাংলাদেশ।
প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় দেড়শ দেশের প্রতিনিধিরা এই ফোরামের বৈঠকে যোগ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১৫ সাল উত্তর উন্নয়ন এজেন্ডায় অভিবাসনকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতি এসেছে এই নির্বাচনে।
“সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে থাকবে যেখান থেকে বৈশ্বিক অভিবাসন ব্যবস্থায় অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের অধিকার ও কল্যাণমূলক বিভিন্ন বিষয় কার্যকরভাবে তুলে ধরতে পারবে।”
কয়েক লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত থাকায় এবং তাদের পাঠানো রেমিটেন্স এদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হওয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় বিশেষ আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান জেনেভায় গ্লোবাল ফোরামের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
৩০ সদস্যের পরিচালক পরিষদের বৈঠকে ফোরামের বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে কানাডা জোরালো সমর্থন দেয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তিউনিসিয়া, মেক্সিকো, মরিশাস ও ফিলিপাইনস বাংলাদেশকে সমর্থন জানায় এবং ফোরামের নবম বৈঠক আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ায় অভিনন্দন জানায়।
বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোয় ওই সব দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে সফলভাবে বৈঠক আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র সচিব।