রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশকে স্মরণ

শুকতারা, জোনাকি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ ঝরেছিল তার কলমে। লিখেছিলেন- ‘মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন নিভে যায়’।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 07:22 AM
Updated : 22 Oct 2014, 10:10 AM

বুধবার সেই কবি জীবনানন্দ দাশের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে তার জন্মস্থান বরিশালের অধিবাসীরা।

সকালে নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ মিলনায়তন ও পাঠাগারে কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পাঠাগারে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল কবিতা পরিষদের সভাপতি তপংঙ্কর চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথি, আড্ডা ধানসিড়ি’র সম্পাদক মুহাম্মদ মহসিন, সাংস্কৃতিক কর্মী নাজমুল শামীম, আসমা চৌধুরী, কাজী সেলিনা, অরুপ তালুকদার প্রমুখ।

১৮৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বরিশালে জন্ম গ্রহণ করেন কবি জীবনানন্দ দাশ।

ভোরের নির্মল আকাশ, শিশির ভেজা ঘাস, ধানের ক্ষেতের উদ্দাম হাওয়ার মতন, নদীর চরের চিল ডাকা ভীষণ দুপুর প্রকৃতির নানা বর্ণবৈচিত্র জীবনানন্দের কবিতায় ধরা দিয়েছে বরাবর।

রবীন্দ্রনথের পর বাংলা কবিতার জগতকে যারা সমৃদ্ধ করে গেছেন জীবনানন্দ দাশ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার মাও ছিলেন কবি।

‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’ এই কবিতাটি যিনি লিখেছিলেন তিনি বাংলা সাহিত্যের অমর কবি জীবনানন্দ দাশের মা কুসুম কুমারী রায়।

জীবনানন্দ দাশ পড়াশোনা করেছেন বরিশাল বিএম স্কুল, বিএম কলেজ ও কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। কর্মজীবনে কলকাতা সিটি কলেজ, দিল্লির রামযশ কলেজ ও বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

১৯৫৩ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৫-তে তার লেখা ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ মরণোত্তর আকাদেমী পুরস্কারে ভূষিত হয়।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ঝরাপালক, পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, রূপসী বাংলা অন্যতম।