পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অক্সফোর্ড ইউনিয়নের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে এই অধিবেশনেই বক্তব্য দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা ডিসেম্বরের ৬ তারিখে শেষ হবে।
১৮২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরনো সংগঠনগুলোর একটি।
রাজনীতি, সংস্কৃতি, দর্শনসহ নানা বিষয়ে পুরোধা ব্যক্তিত্বদের অনেকেই অক্সফোর্ড ইউনিয়নে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিয়েছেন।
এর আগে শেখ হাসিনাও ২০১১ সালের জানুয়ারিতে এই সংগঠনের আমন্ত্রণে বিশ্বশান্তি নিয়ে বক্তৃতা দেন।
তবে এ বছর তিনি ঠিক কোন বিষয়ে বক্তৃতা দিবেন তা ঠিক হয়নি। এমনকি তার বক্তৃতার তারিখও নির্ধারণ হয়নি।
যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্সফোর্ড ইউনিয়নে বক্তৃতার তারিখ হিসেবে আগামী ১৩ নভেম্বর তারা প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন।
অক্সফোর্ড ইউনিয়নে এর আগে বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব মাদার তেরেসা, দালাই লামা, আর্চবিশপ ডাসমন্ড টুটু, রেভারেন্ড ইয়ান পাসলে, ইয়াসির আরাফাত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগান এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলসহ অনেকেই বক্তব্য রেখেছেন।
ব্রিটেন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদদের জন্য অক্সফোর্ড ইউনিয়নকে একটি চমৎকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে অনেকে বিবেচনা করে থাকেন।
এর বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বেঞ্জামিন সুল্লিভান, যিনি অক্সফোর্ডের ক্রাইস্ট চার্চ কলেজের ইতিহাস ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র।