মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আমলী আদালত ৬ এ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের পেশকার লিটন ভুইয়া জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবিনা পারভীন বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ঢাকার একটি আদালতও লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
নিউ ইয়র্কে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি হজ ও তাবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। এতে শ্রমশক্তি ও অর্থের অপচয় হয়।
এরপর বিভিন্ন জেলায় দুই ডজনের বেশি মামলা হয় লতিফের বিরুদ্ধে। নিজের দলেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন তিনি।
এর ধারাবাহিকতায় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে কেন বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়।
কুমিল্লায় মামলা
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সালচর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন।
কুমিল্লার ৭নং আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিথিলা ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দিনা থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
এর আগে ২ অক্টোবর কুমিল্লার একটি আদালতে সদর উপজেলার বাসিন্দা শাহীন মীর্জাও একই অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।