সরকারি-আধা সরকারি দপ্তরে কেউ কোনো কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিলে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
গত মাসের শেষ দিকে দেয়া ওই নির্দেশনা এরইমধ্যে সব মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর-অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, “এ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করে অথবা টেলিফোনে এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক বিভিন্ন দপ্তরে নানা প্রকার অবৈধ তদবির করছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চিঠিতে তিনটি ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ৯১১৪২৭০, ৮১৪২৭০০ ও ০১৭৫৫৫৫২০২১।
নির্দেশনা পাঠানোর কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আছে, আবার কিছু অভিযোগ শোনা গেছে।”
বিভিন্ন দপ্তরে তদবির বাণিজ্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমরা তো এ দেশেরই মানুষ। আমাদের আত্মীয়-স্বজন আছে, বিভিন্ন দপ্তর পরিচিত আছে, সিনিয়র-জুনিয়র আছে। হয়ত দেখা যাচ্ছে, কেউ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের র্কর্তা পরিচয়ে অন্য কোনো সরকারি দপ্তরে ফোন করছে, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে আসলে ওই নামের কোনো কর্মকর্তা নেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
“এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, সুশাসন বিঘ্নিত হয়। এজন্য আমরা বলেছি কেউ আমাদের কার্যালয়ের কথা বললে যাচাই করে নেবেন। সেজন্য আমরা কিছু ফোন নম্বরও দিয়েছি। আর কেউ মিথ্যা পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”