এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৮ অক্টোবর খুলশী থানার নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল এলাকায় রাব্বীদের বাসায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকেন নাজমা। এক পর্যায়ে রাব্বীকে টাকা দিয়ে দোকান থেকে জিনিস কিনতে পাঠান।
“এসময় নাজমাও বাসা থেকে বের হয়ে রাব্বীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় এবং রাতে তার বাবার কাছে ফোন করে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।”
এরপর রাব্বীর বাবা খুলশী থানায় একটি মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে রাউজান মদনমাল এলাকা থেকে সুমনকে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাউজান গহিরা এলাকা থেকে নাজমাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ বলেন, নাজমা সোমবার সকালে রাব্বীকে মাইজভান্ডার বাজারে রেখে চলে আসে। সেখানে রাব্বীকে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় এক দোকানদার তাকে নিজের কাছে রেখে দেয়।
“সোমবার রাতে নাজমার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাইজভান্ডার বাজার থেকে রাব্বীকে উদ্ধার করা হয়।”
এর আগে গত ৫ অক্টোবর ষোলশহর দুই নম্বর এলাকা থেকে তিন বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ১৮ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে বলে নাজমা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে এসআই সন্তোষ জানিয়েছেন।