বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন  সবচেয়ে ভালো: পঙ্কজ শরণ

বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে মন্তব্য করে এই সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিপীযুষ কান্তি আচার্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2014, 12:31 PM
Updated : 21 Oct 2014, 12:31 PM

মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধক শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ীর জন্মস্থান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত সবসময় শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে।

দুপুরে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেওড়া গ্রাম ঘুরে আনন্দময়ীর জন্মস্থান, তার নামে প্রতিষ্ঠিত আশ্রম ও উচ্চ বিদ্যালয় দেখেন হাই কমিশনার।

পরে আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব নীনা দেশপাণ্ডে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

পরিদর্শনকালে পঙ্কজ শরণ সাংবাদিকদের বলেন, “ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে ভালো। যে সহজ সম্পর্ক আছে তা থাকবে। ”

তিনি বলেন, ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আশুগঞ্জ বন্দর, আশুগঞ্জের সঙ্গে আখাউড়া  স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কের যাবতীয় উন্নয়ন করতে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“পুরো উন্নয়ন কর্মসূচি আমাদের বিশেষ বিবেচনায় রাখা প্যাকেজ। এটি অনেক বড় প্রকল্প। পর্যায়ক্রমে আমরা পুরো উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।”

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে তা সনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে সব সমাধান করা হবে বলেও মন্তব্য করেন এই কূটনীতিক।

দুপুর পৌনে ২টায় খেওড়া গ্রামে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কসবার উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঞা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নারায়ণ সাহা মনি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা হেলাল ভূঞা ।

পরে তিনি হেঁটে হেঁটে গ্রাম ঘুরে দেখেন, মা আনন্দময়ীর জন্মভিটায় যান। আনন্দময়ীর জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের পুরোহিত ও এলাকাবাসী উলুধনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

পঙ্কজ শরণ মন্দিরে ঢুকে কিছু সময় প্রার্থণা করেন। ফেরার পথে মা আনন্দময়ীর মন্দিরকে তিন বার প্রদক্ষিণ করেন।  পরে মন্দিরের পুরোহিত পলাশ ভট্টাচার্য হাই কমিশনারের কপালে তিলক পরিয়ে দেন।

পঙ্কজ শরণ বলেন, “মা আনন্দময়ী মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মায়ের জন্মভিটায় আসতে পারা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের। আমি আজ আনন্দিত, আপ্লুত। অনেক সুন্দর প্রকৃতি আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মায়ের জন্ম হয়েছে। এই গ্রাম আমাকে মুগ্ধ করেছে।”

এরপর তিনি যান আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে ভারতীয় হাই কমিশনের অর্থায়নে দেয়া ১০টি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার নিয়ে স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব উদ্ধোধন করেন তিনি।  স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।