টঙ্গীর শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানায় ভাংচুর

বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রলালয়ের একটি কারখানায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2014, 12:18 PM
Updated : 21 Oct 2014, 12:18 PM

মঙ্গলবার ‘মৈত্রী’ নামের ওই শিল্প কারখানায় এ ঘটনার সময় হামলায় তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পরে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারের জন্য কারখানায় ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক স্বপন, আব্দুল হামিদসহ অনেকের দাবি তাদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তা পরিশোধ না করায় তারা মঙ্গলবার আন্দোলনে নামেন। ওই পাওনা পরিশোধ না হলে তাদের আন্দোলন চলবে।

কারখানার নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রলালয়ের আওতাধীন মৈত্রী শিল্পটি মূলত প্রতিবন্ধীদের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। পরে কারখানাটি রুগ্ন শিল্পে পরিণত হলে দুই বছর বন্ধ থাকে।

২০১২ সালে কারখানাটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চালু করা হয়।

এরপর থেকেই এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় এটি।

“এখন আমরা প্রতিষ্ঠনের যতটুকু লাভ হয়, তা থেকে বেতন পরিশোধ করছি। সোমবার সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে,” বলেন তিনি।

তবে কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে শ্রমিকদের এক বছরের বেতন-ভাতা বকেয়া হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আসার পর তাদের ৬ মাসের বকেয়া অগ্রিম শোধ করেছি। পরবর্তীতে প্রতিমাসের বেতন থেকে ১০ শতাংশ হারে কেটে নিয়ে সমন্বয় করা হচ্ছে। শ্রমিকদের বাকি ৬ মাসের বকেয়াও পরিশোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” 

কিন্তু শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

এ সময় তারা কারখানার প্রশাসনিক ও হিসাব শাখায় আসবাবপত্র, জানালার কাঁচ ভাংচুর করেছে।

এছাড়া তাদের হামলায় কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুছ আহমেদ (৪২), প্ল্যান্ট সুপারভাইজার মো. রিয়াজ উদ্দিন (৫০) ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহসীন আলীসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাদেয়া হয়েছে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মঙ্গলবারের জন্য কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে তিনি জানান।

নির্বাহী পরিচালক আল মামুন আরো জানান, বকেয়া পরিশোধের জন্য সরকারের কাছ থোক বরাদ্দের আবেদন করলে জানানো হয় এ প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পলিসি হচ্ছে, এখানকার আয় থেকেই শ্রমিকদের বেতন  পরিশোধ করতে হবে।

এই কারখানাটিতে মুক্তা ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটার ছাড়াও প্রায় ৪০ প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।