মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত কোচিং বন্ধ

ভর্তি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আগামী শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

দেশের ২২টি মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) অধ্যাপক এবিএম আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

এ নির্দেশনা সোমবার রাত থেকেই কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, “অভিযোগ রয়েছে যে, কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজচক্র কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন ব্যবস্থাপনাকে পুঁজি করে মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০% কমন সাজেশন অথবা কোনোভাবে ভর্তি করে দেবে বলে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।”

অধ্যাপক হান্নান বলেন, “পরীক্ষার আগের রাতে যে কোনো ধরনের গুজব প্রতিহত করতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

মোট ১০ হাজার ২২৭টি আসনের বিপরীতে এবছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফরম তুলেছেন ৬৯ হাজার ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী।

এবছর দেশের ২৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে তিন হাজার ১৬২ জন, ৫৬টি বেসরকারি মেডিকেলে পাঁচ হাজার ৩২৫ জন, নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে ৫৩২ জন এবং ২৩টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে এক হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা নেয়া শুরু হয় ১৯৮০’র দশকে।

বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসির ফল মিলিয়ে অন্তত ৮ জিপিএ থাকলে মেডিকেলে ভর্তির আবেদন করা যায়। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল, ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে। এ বছর থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে।