কাটা পড়া সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি জানিয়েছে।
আদালতে বোমা হামলার ‘হুমকিদাতা’ নাসির রিমান্ডে
চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলার হুমকি দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার নাসির মোহাম্মদ ও তার শ্যালক সালাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 20 Oct 2014, 12:31 PM
Updated : 20 Oct 2014, 12:43 PM
Also Read: ‘রায় পক্ষে পেতে’ আদালতে বোমার হুমকি
Also Read: আদালত উড়িয়ে দেওয়ার ‘হুমকিদাতা’ গ্রেপ্তার
Also Read: চট্টগ্রাম আদালত ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম ফরিদুল আলম সোমবার এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে দুই জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হলে বিচারক তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
রোববার রাতে বন্দরনগরীর বাদুরতলা এলাকা থেকে নাসির ও সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নাসির বলেন, জমি সংক্রান্ত একটি মামলার রায় পক্ষে পেতেই গত ১৪ অক্টোবর মোবাইল ফোনে দুই আইনজীবীকে তিনি বোমা হামলা হবে বলে জানান।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা বলেন, “দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত মামলা চালিয়ে দিশেহারা হয়ে নাসির এ ঘটনায় ঘটায়। তার কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।”
বাদুরতলা এলাকার মৃত দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে নাসির ওই এলাকাতেই মোবাইলে বিল রিচার্জের ব্যবসা করেন। তিনি বাদুরতলা এলাকার হারেজ শাহ মাজারের খাদেম বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নাছির বাদুরতলায় তার পৈত্রিক সম্পত্তি চার বছর আগে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে দেন। ওই প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর আগেই জমির মালিকানা দাবি করে অন্য একজন মামলা করেন।
“এ কারণে ওই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান নাছিরের কাছে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। চার বছর ধরে মামলা চলার পরও সুরাহা না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে নাছির এ কাজ করেন বলে দাবি করেছেন”, বলেন সন্তোষ।
১৪ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য মানস দাশের মোবাইলে ফোন করে জেএমবি পরিচয়ে আদালত ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানান নাসির।
মানস দাশ বিষয়টি পুলিশ ও আইনজীবী সমিতির নেতাদের জানালে আদালত ভবন এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
ওইদিন তল্লাশি চলাকালে আদালত এলাকায় প্রায় ৫৮ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার হন ইলিয়াছ ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তি।
চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার শহীদুল ইসলাম মুরাদকে দিতে ওই টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ইলিয়াছ। তার বিরুদ্ধেও একটি মামলা হয়েছে।
এ সম্পর্কিত খবর
পুলিশ বলছে, গুলিস্তান টোল প্লাজায় গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তি হঠাৎ সড়কে ঢলে পড়েন।
আনু মুহাম্মদের পায়ে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার ‘বিশ্বাসযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
