এ ঘটনার পর থেকে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমান পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, হাট-বাজারের উন্নয়ন কাজের একটি প্রকল্পের আওতায় নলডাঙ্গার কাচারী বাজার এলাকায় ড্রেনের রিং-স্ল্যাব নির্মাণের কাজ চলছিল।
সকালে মতিয়ার রহমান ওই নির্মাণ কাজে বাধা দেন। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান নুরে আলম নান্টু ওই এলাকায় যান। এ সময় বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মতিয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে মতিয়ারের সঙ্গে থাকা লোকজন চেয়ারম্যানকে মারধর করে।
চেয়ারম্যান নুরে আলম নান্টুর স্ত্রী ইতি বেগম অভিযোগ করেন, মতিয়ারের এলাকায় ওই প্রকল্পের কাজ হচ্ছিল। এ কারণে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ কারণে তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়।
এ নিয়ে কথা বলার জন্য ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওসি জিয়া জানান, পুলিশ মতিয়ার ও তার লোকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।